তানভীরুল আলম তোহাঃ মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গের হত্যাকারীদের জান্নাত চেয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন রাজশাহীর তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে জরুরী সভা করে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগ।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরীত ওই পত্রে তাকে দল থেকেও স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ১২টা ১ মিনিটে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগ পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারবর্গ, শহীদ জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত হয়।

মোনাজাত পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক। মোনাজাত পরিচালনাকালে তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য একটি বাক্য উচ্চরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জরুরি সভা করে নির্বাহী কমিটি।

সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে খন্দকার আব্দুর রাজ্জাককে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে তাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাগমারা উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়।

পৌর আওয়ামী লীগের মোনাজাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাগমারা টাইমস পুরো ভিডিও টি ছিলো ৩০ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড এর মধ্যে ১৬ সেকেন্ডার ভাইরাল ভিডিওতে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাবুদ, জাতির জনক এবং তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছেন, আল্লাহ তাদের সকলকে জান্নাত দান করে দিও আল্লাহ।’

এ সময় পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ ও সভাপতি আবু বাক্কর মৃধা মুনসুর সহ দলীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও বিষয় টি বুঝতে পারেন নি তারা।

পরে বিষয় নজরে আসলে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদ হতে বহিষ্কার করা হয়।